বিশেষ প্রতিনিধি:
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ রেজুলেশন এর ভিত্তিতে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গঠিত নেত্রকোণা সদর উপজেলা স্টিয়ারিং কমিটির দশম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সদর উপজেলা কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশী নারীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সরকারী কর্মকর্তা, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নারী নেত্রী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, স্থানীয় সরকার ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে উপজেলা ষ্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় নারীর শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবার আগে পুরুষদের স্বোচ্চার হতে হবে। বাল্যবিয়ে ও যৌনহয়রানি প্রতিরোধ করে নারীর শান্তি নিশ্চিত করা। এজন্য স্কুল কলেজে বেশি কাজ করার, পাশাপাশি তৃনমুল পর্যায়ে নারীদের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সরকারী সেবা সমূহ কোথায় পাওয়া যায় এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা বিনতে রফিক এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা তথ্যআপা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম নোভা।সভায় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ি অগ্রগতি পর্যালোচনা সহ প্রকল্পের কার্যক্রম শেষে ভবিষৎতে স্টিয়ারিং কমিটির কার্যক্রম স্থায়ীত্বশীল করার জন্য করনীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্পনা ঘোষ এর পরিচালনায় এবং জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহাজাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ নেত্রকোনা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী। সভায় অগ্রগতি ও পরিকল্পনা শেয়ারিং করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গাজী মোবারক হোসেন, চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হাসান, শিক্ষক শিউলি চক্রবর্তী, সাবেক প্যানেল মেয়র শামীম আরা খানম, নারীনেত্রী মুক্তিযোদ্ধা ঊষা রানী রায়, সংস্কৃতি কর্মী শিল্পী ভট্রাচার্য ও আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক ইলোরা তাহসিনা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক বলেন নারীর শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবার আগে পুরুষদের স্বোচ্চার হতে হবে। বাল্যবিয়ে ও যৌনহয়রানি প্রতিরোধ করে নারীর শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য স্কুল কলেজে বেশি কাজ করতে হবে, পাশাপাশি তৃনমুল পর্যায়ে নারীদের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সরকারী সেবা সমূহ কোথায় পাওয়া যায় এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। গ্রামের একজন নারী জানেনা সরকারী আইন সহায়তার কথা । এই বিষয়গুলো বেশি বেশি শেয়ার করতে হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও স্টিয়ারিং কমিটিতে যারা আছেন উনারা যদি উনাদের দাপ্তরিক কাজের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেন তবে নিশ্চয়ই কার্যক্রম স্থায়িত্বশীল হবে। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, আনসার ভিডিপি, তথ্য আপা কার্যালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, শিক্ষা বিভাগ সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও তৃনমুল বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে কার্যক্রমকে স্থায়িত্বশীল করার জন্য পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।