কেন্দুয়া প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ জন প্রভাষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি ও পদোন্নতির অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগকারী হিসেবে যিনি চিহ্নিত হয়েছেন, সেই এডভোকেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন, আমি কোনো অভিযোগ করিনি। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে অভিযোগ করেছে, তা আমার জানা নেই। অভিযোগপত্রে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটিও তাঁর নয়।
২০২৪ সালে ৯ এপ্রিল শিক্ষা সচিব বরাবরে করা অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত প্রভাষকরা ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন। অনেকেই তৎকালীন বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের সময় কলেজ ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কয়েকজন প্রভাষক মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অনির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে জাল কাগজপত্র সংগ্রহ করে চাকরি নিয়েছেন। এতে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন এবং শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকেরা হলেন, বদিউজ্জামান বকুল (ইংরেজি), বোরহান উদ্দীন (বাংলা), আব্দুল কাদের (বাংলা), ফারুক আহমেদ তালুকদার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), এম এ রুবেল (হিসাববিজ্ঞান), সুমন কুমার বণিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), মোসাঃ সাবিকুন্নাহার (দর্শন), নমিতা পোদ্দার (দর্শন), আহম্মদ আবদুল্লাহ হারুন (উদ্যোক্তা উন্নয়ন), মোঃ শফিকুল আলম (কম্পিউটার অপারেটর) এবং বিধান কর (কম্পিউটার অপারেটর)।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান ও উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ কেন্দুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজে এসে শিক্ষকদের সনদপত্র প্রাথমিকভাবে যাচাই করেন।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে তারা সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকেরা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। প্রভাষক শফিকুল আলম ও আব্দুল কাদের নয়ন বলেন, “আগেও আমাদের নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রমাণ মেলেনি। এবারও কে বা কারা আমাদের হেয় করার জন্য এমন অভিযোগ করেছে তা বোধগম্য নয়। আমরা এ ধরনের মিথ্যা ও আজগুবি অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই।”
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী আসলে কে? কেননা, যিনি অভিযোগকারী হিসেবে নামকরা হয়েছেন, তিনি নিজেই বিষয়টি অস্বীকার করছেন।
