বারহাট্টা প্রতিনিধি :
দীর্ঘদিনের দাবি ও অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাস্তবায়িত হলো বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের গোরল গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের বাড়ি থেকে জমিদার মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
আজ বিকালে এই রাস্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে আসেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান (প্রশাসক আসমা ইউনিয়ন), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. উবায়েদ উল্লাহ খান ও সমাজসেবা কর্মকর্তা এ.এস.এম. গোলাম হোসাইন ।
এ সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এই রাস্তার মাধ্যমে এলাকার বাসীর দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ ও কষ্টের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
নতুন নির্মিত প্রায় ১/২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও বর্ষার মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য একটি রাস্তা। ফলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষক ও রোগীদের মারাত্মক কষ্ট পোহাতে হতো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. উবায়েদ উল্লাহ খান বলেন, “এই রাস্তা শুধু যাতায়াতই সহজ করবে না, পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রমও গতিশীল করবে। স্থানীয় কৃষকরা এখন সহজেই তাদের পণ্য বাজারে পৌঁছে দিতে পারবেন।”
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ.এস.এম. গোলাম হোসাইন বলেন, এলাকাবাসীর অনেক দীর্ঘদিনের এই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা সোনা মিয়া জানান,
“আমাদের বহু বছরের কষ্ট আজ দূর হলো। আগে স্কুলে যেতে বাচ্চাদের নিদারুণ অসুবিধা হতো, এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না।”
সানোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের এই রাস্তার অবস্থা বহু বছর ধরেই এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের এক অনিবার্য বাস্তবতা ছিল। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার চলাফেরায় অসুবিধা হতো। এই কষ্ট আমাকে বারবার নাড়া দিয়েছে।আমি উপজেলা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি অবহেলিত এই রাস্তাটি বাস্তবায়নের জন্য।
আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে আমার মনে সত্যিই গভীর আনন্দ আর তৃপ্তি কাজ করছে।
আমি ভবিষ্যতেও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। মানুষের হাসিই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।” প্রকল্পটি ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবন্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে ৫ মেট্রিক টন চাল দ্বারা বাস্তবায়ন করা হয়।
