নেত্রকোনায় পাহারাদার হত্যা ও গরু লুট: গ্রেপ্তার ৩, আদালতে স্বীকারোক্তি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গরুর খামারের পাহারাদার মো. জয়নাল মিয়াকে (৬৫) হত্যা করে সাতটি গরু লুটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী পাঠান, দুর্গাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-ইমরানুল আলম, দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (পূর্ব) সাইদুর রহমান, ওসি (পশ্চিম) আরমান আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাশ্রম রামবাড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে দোলন মিয়া (২৮), শুকনাকুড়ি রামবাড়ি এলাকার মহর আলীর ছেলে আবদুল মান্নান (৪২) এবং একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আবদুল আউয়াল (৩২)।
নিহত জয়নাল মিয়া পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই মাস ধরে স্থানীয় হাবিবুল্লাহর গরুর খামারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করছিলেন। সেখানে আরও দুজন কর্মচারী থাকলেও ঘটনার রাতে তিনি একাই দায়িত্বে ছিলেন।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে হেলাল নামে অপর এক পাহারাদার দিনের দায়িত্ব শেষ করে জয়নাল মিয়ার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। তবে পরদিন সকালে ফিরে এসে তিনি ঘরের খুঁটির সঙ্গে জয়নালের হাত-পা ও মুখ বাঁধা মৃতদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জালাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর থানায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সোমবার সকালে অভিযুক্ত দোলন মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন বিকেলে আবদুল মান্নান ও আবদুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: