ইলেকট্রনিক বর্জ্যের ক্ষতি এড়াতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জাতিসংঘের
সম্প্রতি ২০২৪ গ্লোবাল ই-ওয়েস্ট মনিটরিং রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ (ইউএনআইটিএআর) এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ)। ওই প্রতিবেদনে ক্রমে বেড়ে চলা ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া প্রতি বছর ২৬ লাখ টন বর্জ্য বৃদ্ধির বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
প্রযুক্তির ব্যবহারের সাথে বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে পরিমাণও বাড়ায় পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়ছে। এ থেকে রক্ষা পেতে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। ইলেকট্রনিক বর্জ্য হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ফেলে দেয়া বা বাতিল অংশ। এর মধ্যে সেলফোন, ল্যাপটপের ব্যাটারি, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও টেলিভিশন রয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর ই-বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়ছে। ২০২২ সালে ছয় কোটি ২০ লাখ টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে। সে হিসাবে ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক পর্যায়ে ই-বর্জ্যরে পরিমাণ ৮ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২২ সালে বিপুল বর্জ্য তৈরি হলেও এর মাত্র ২২ দশমিক ৩ শতাংশের তথ্য অফিসিয়াল রেকর্ডে প্রবেশ করেছে। এ পরিমাণ বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের আওতায় ছিল। এর মাধ্যমে ই-বর্জ্য তৈরি ও এর রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মধ্যকার বিশাল পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেছে। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস চলতি দশক শেষে পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ আরো ২০ শতাংশ কমবে। মূলত প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, মেরামতের সুযোগ না থাকা, পণ্যের কম স্থায়িত্ব ও বৈদ্যুতিক পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ হার কমবে।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ই-বর্জ্য তৈরি ও পনুঃপ্রক্রিয়া হার একেক রকম। মাথাপিছু বর্জ্য উৎপাদনে এগিয়ে ইউরোপ। সেখানে গড়ে সাড়ে ১৭ কেজি বর্জ্য তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এর পরিমাণ ১৪ কেজি ১০০ গ্রাম। তবে পুনঃপ্রক্রিয়ার দিক থেকে পুরো চিত্রই ভিন্ন। ইউরোপে পুনঃপ্রক্রিয়ার হার ৪২ দশমিক ৮, ওশেনিয়ায় ৪১ দশমিক ৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ ও এশিয়ায় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে কেবল ই-বর্জ্যরে পরিবেশগত প্রভাবকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি, পাশাপাশি অর্থনৈতিক ব্যয়ের বিষয়ও তুলে ধরেছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: