নেত্রকোণায় বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের মানববন্ধন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নেত্রকোনায় বৈষম্য অবসান কল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে সমূহে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও নিয়মিত কর্মরত ৩৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষককে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আদেশে এমপিওভুক্তির দাবিতে এবং গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা ভবনের সামনে কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপর পুলিশের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে “অ্যাপ্লিকেশন টু দ্যা চিপ অ্যাডভাইজার” কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন নেত্রকোণা জেলা শাখা।
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি মাজহারুল হক পলাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল আলম সঞ্চালনায় এসময় আগত অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সকল বীর শহীদের প্রতি মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষক। ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে গত ৩২ বছর ধরে আমাদের ৪৯৫টি বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে প্রায় ৩৫০০ জন নন-এমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে কোন বেতন-ভাতা না দিয়ে এমপিওবিহীন করে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার পরেও অদ্যবধি সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছি। এ ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ থেকে ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় শিক্ষা ভবনের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে ১৭ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ৪:৩০ মিনিটে আমরা 'মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচি ঘোষণা করি। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদেরকে অগ্রসর হতে বাধা দেয়। ফলে আমরা রাস্তায় বসে পড়ি। এরই মধ্যে আসরের নামাজের আজান হলে আমরা সেখানেই নামাজ আদায় করি এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করি। এমন সময় পেছনের দিক থেকে পুলিশ বাহিনী আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষক আহত, রক্তাক্ত হয় এবং সমাবেশ পণ্ড হয়। যার ভিডিও ও স্থির চিত্র বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য আমরা শিক্ষক সমাজ লজ্জিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় তারা সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে আরও নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা আবু আব্বাস কলেজের শিক্ষক আমির সিরাজি, জহিরুল ইসলাম, মেহেদি হাসান, কায়েস চৌধুরি,মমতাজ বেগম, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: