বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত রাসেলের পরিবারকে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসন থেকে জায়গাসহ ঘর উপহার
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের হতদরিদ্র ভূমি ও গৃহহীন রাসেল। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে বিজিবির গুলিতে নিহত হয়। নিহতের ছেলের লাশ দাফনের মত জমিটুকুও ছিল না রাসেলের দিনমজুর বাবার। তাই বাধ্য হয়ে ভাইয়ের জমিতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে দাফন করে পেটের দায়ে ঢাকা চলে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি জানতে পেরে নিহত হওয়ার প্রায় একমাস পরে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে গুলিতে নিহত রাসেলের পরিবারের খোঁজ নিল না কেউ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর হতদরিদ্র রাসেলের নিহত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
তাৎক্ষণিক জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নিহত রাসেলের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হয়। সর্বশেষ শহিদ রাসেলের গৃহহীন পরিবারটিকে মাথা গোঁজার মত ১০ শতাংশ জায়গা ও একটি ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ ১১ ডিসেম্বর বিকালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ শহিদ রাসেলের কবর জিয়ারত করেন। পরবর্তীতে শহিদ রাসেলের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, জেলা সিভিল সার্জন অনুপম ভট্টাচার্য্য, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি, প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ শিহাব উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়দুল্লা খান, সমাজসেবা অফিসার এস.এম. গোলাম হোসাইন, নেত্রকোনা জেলা সমন্বয় শেখ হাসনাত জনি, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তালুকদার, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুুদ আলম ফকির, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল বাসিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ।
জেড/এস/নেত্রভয়েস
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: