মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেলেন কেন্দুয়ার কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই সেলিম
নেত্রকোণার কেন্দুয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জননেত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি কবি ও গীতিকার আব্দুল হাই সেলিম মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থা "সার্ক কালচারাল কাউন্সিল" বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মহীয়সী নারী মাদার তেরেসা'র কর্মময় জীবন" শীর্ষক আলোচনা সভা ও মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড"-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সম্মাননা স্বারক, সনদপত্রসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।
মফস্বল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।
কবি ও গীতিকার আব্দুল হাই সেলিম ১৯৭১ পহেলা জানুয়ারী বাবা-মায়ের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আলতাবুর রহমান ও মায়ের নাম আমেনা আক্তার। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউপির সাগুলী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ব্যবসার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। নব্বই দশকের শুরুর দিকে তাঁর সাহিত্য অঙ্গনে বিচরণ শুরু হয় তাঁর।
১৯৯৩ সালে দৈনিক ঈশিকা পত্রিকার কেন্দুয়া প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর দৈনিক আজকের বাংলাদেশ ও দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কাজ করেছি। বর্তমানে দৈনিক জননেত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছেন। স্থানীয় বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিবং শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথেও জড়িত রয়েছেন।
একই সাথে প্রতিনিয়ত কবিতা ও গান রচনা করে যাচ্ছেন তিনি । এ পর্যন্ত 'কাব্যের প্রেরণা তুমি' ও 'সেলিস গীতি স্বরূপে অপরাপ নামে দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা প্রথম কবিতা 'আন্দোলন' ময়মনসিংহের আজকের বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৯৭ সালে একই উপজেলার চারিতলা গ্রামের মরহুম আব্দুল মতিন ভূইয়ার কন্যা বিউটি আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্যজীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ছেলে মাহমুদুল হাসান অনিক (বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত) ও মেয়ে মারিয়া আক্তার রিয়ামনি (স্নাতক সম্মানে অধ্যয়নরত)।
২০১৯ সালে তিনি তাঁর জন্মভূমি সাগুলী গ্রামে নিজ বাড়িতে 'আন্-নূর পাঠাগার' প্রতিষ্ঠা করেন।এই পাঠাগারটি স্থানীয় মানুষের চেতনা ও মনন আলোকিত করার বাতিঘর হয়ে উঠছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক আব্দুল হাই সেলিম বলেন,কাজের মূল্যায়ন পেলে যেকেউ খুশি হয়। আমিও তাই। এই স্বীকৃতি আগামীদিনে কাজ করার আরো উৎসাহ যোগাবে। এ্যাওয়ার্ড কতৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: