জন্ম নিবন্ধনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কেন্দুয়ার ইউএনও'র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
অনিবন্ধিত বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধনে আগ্রহী করতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার।
গ্রামের সহজসরল মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে তিনি নিজ উদ্যোগে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে মাসকা ও দলপা ইউনিয়ন এবং কেন্দুয়া পৌরসভা কয়েকটি গ্রামে ঘুরে ঘুরে ক্যাম্পেইন করেছেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।
তাঁর ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সচেতন মহল। অন্যদিকে গ্রামের মানুষের মাঝেও বাড়ছে সচেতনতা।
এব্যাপারে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, প্রতিটি মানুষের উচিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। এগুলো একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় আবার অপর দিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রয়োজন উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি এবং উন্নত সেবা। আর এই উন্নত সেবা সব নাগরিকদের মাঝে পৌঁছে দিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে গেলে জন্মনিবন্ধন লাগবে। জন্মনিবন্ধন ব্যতীত কেউই জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে পারবেন না। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বেশিরভাগ উন্নত সেবা গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪-এর ৮ ধারা অনুযায়ী, কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করার কথা রয়েছে। এবং ফি করা হবে। আমি চেষ্টা করছি এবং যখন সময় পাই কোন না কোন গ্রামে ঢুকে ক্যাম্পেইন করছি। ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
প্রতিটি শিশুর সঠিক শিক্ষার্জন, উন্নত চিকিৎসাসেবা, সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাওয়া, অপব্যবহার, শোষণ ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পেতে সঠিক সময়ে শিশুর জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য আহবান রাখেন ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: