অবৈধ নিয়োগে ২৭ বছর ধরে শিক্ষকতা

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে ২৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এক শিক্ষক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকরে নাম অমর চন্দ্র সরকার। তিনি উপজেলার সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিদ্যালয়ের রেজ্যুলেশন থেকে জানা গেছে, অমর চন্দ্র সরকার ১৯৯৮ সালের ৩০ নভেম্বর গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উপজেলার সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেন।
কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় তিনিসহ মাত্র দু’জন প্রার্থী ছিলেন। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, নিয়োগ পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনজন প্রার্থী উপস্থিত থাকতে হবে। অন্যথায় নিয়োগ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তার পরও তাকে নিয়োগ দেয় ম্যানেজিং কমিটি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরে রেজ্যুলেশন খাতা চুরির নাটক সাজানো হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ের আলমিরা থেকে শিক্ষক অমর চন্দ্র সরকারের নিয়োগের রেজ্যুলেশন খাতা চুরি হয়ে যায়। যদিও ওই চুরি ঘটনায় বিদ্যালয়ের আর কোনো জিনিসপত্র খোয়া যায়নি। ওই ঘটনায় থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও করা হয়নি।
তবে নিয়োগসংক্রান্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির রেজ্যুলেশনের ফটোকপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এতে অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, ২০১৬ সালে মন্ত্রণালয়ের অডিটের সময় অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে টাকার বিনিময়ে অডিট ধামাচাপা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক অমর চন্দ্র সরকার জানান, আমার চাকরি শেষের দিকে। একটি পক্ষ আমাকে হয়রানি করতে এসব করে যাচ্ছে। ওই সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়ম মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আমাকে যারা নিয়োগ দিয়েছিল তারা বলতে পারবেন কেমনে কী হয়েছে।
সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক বলেন, আমি এই স্কুলে কয়েক মাস আগে করেছি। আমি যোগদান করার আগেই ওই রেজ্যুলেশন খাতা চুরি হয়েছে। তবে সেসময় সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি। আমি যোগদান করার পর এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে সেসময় শুধুমাত্র স্কুল থেকে একটি মাত্র খাতা চুরি হয়েছিল, আর কিছু খোয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি যেহেতু শুনেছি, খোঁজ নিয়ে দেখব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: