কলমাকান্দা সীমান্তে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট! নিরসনে নেই কার্যকর উদ্যোগ

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় জীবন যাপনে নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ যেনো এক নিত্য চরম দুর্ভাগ্য!
ভৌগলিক অবস্থার কারণে কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত জনপদে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভাবে নিরাপদ (বিশুদ্ধ) পানির তীব্র সংকটে পাহাড়ি সীমান্তে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ।।
বৃহস্প্রতিবার (২৭শে ফেব্রু) ঘুরতে গিয়ে দেখা যায়, নিচের দৃশ্যমান চিত্রগুলো তাদের একমাত্র ভরসাস্থল! দৈনন্দিন কাজে ব্যবহ্নত পানির উৎস হিসাবে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ি সীমান্তের বিভিন্ন ঝর্না ধারায় গভীর ফুট বালু খুঁড়ে ফিল্টারিং করে পানির চাহিদা নিরসনে কলসি বালতি হাঁড়ি পাতিল ভরে নিয়ে যাচ্ছে দুরদুরান্ত থেকে আসা আদিবাসী নারীরা। অন্যদিকে দেখা মিলে গুটিকয়েক স্বয়ংসংপূর্ণ আদিবাসী জনগোষ্ঠী পরিবার তাদের সমার্থ অনুযায়ী নিজেদের বাড়ি আঙিনায় রিংওয়েল স্লাফ বসিয়ে কুয়ো তৈরি করে নিরাপদ পানির চাহিদা কিছুটা হলেও নিরসন করতে।
এ তীব্র সংকট নিরসনে কয়েকজন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী নারী মহুয়া ঘাগ্রা, বিনা পানি আজিম, উকিল মাস্টার, মিনা রাংসার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের এই মহা-সমস্যা নিরসনে কেউ এগিয়ে আসেন না, মাঝে মাঝে দু'একটা জিও এনজিও প্রতিনিধি ভাবলেও সরকারিভাবে এ সমস্যার কোন উদ্যোগ নিতে দেখিনা। সীমান্তে গভীর নলকূপ স্থাপন না হলেও তারা বিকল্প হিসাবে রিংওয়েল এর মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দিতে পারেন,কিন্তু তাও দিচ্ছেন না, সরকার বা প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রশ্ন- তাহলে কি আমরা এদেশের কোন নাগরিক না?
এ বিষয়ে উপজেলা জনপ্রশাসন বিভাগে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তে গভীর নলকূপ স্থাপন করা যায় না বালি পাথরের কারণে, কয়েক দফায় সয়েল স্টেষ্ট করা হয়েছে, তবে সীমান্তে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে সরকার বরাবরে বিকল্প কিছু করার উদ্যোগ নিতে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: