নেত্রকোনায় মন্দিরে আগুন দিতে গিয়ে জনতার হাতে হিন্দু যুবক আটক
নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার পূর্বধলায় একটি মন্দিরে আগুন দিতে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দু) এক যুবককে আটক করেছে আনসার বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় জনতা। শনিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বাড়হা ঘোষপাড়া কালী মন্দিরে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুর করতে গিতে সরঞ্জামাদিসহ হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত নেপাল চন্দ্র ঘোষ (৩৪) উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের সুধীর চন্দ্র ঘোষের ছেলে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বিমল চন্দ্র বর্মন জানান, শনিবার আনুমানিক রাত ২টার হঠাৎ হাঁতুরি দিয়ে মন্দির ভাঙার শব্দ শুনতে পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তখন কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও নেপাল পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পূর্বধলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা জানান, আমরা সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে আছি। ৫ আগষ্টের গণবিপ্লবকে যারা নস্যাৎ করতে চায় সেই দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পূর্বধলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে নিরাপত্তা আরও জোরদারের দাবীও জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সাইদুর রহমান তালকুদার বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য একটি চক্র কাজ করছে। তবে বিএনপি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।আটককৃত নেপাল চন্দ্র ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বহিরাগত ছয়জন এবং স্থানীয় দুজনসহ আটজন ছিলাম। কৃষ্ণর ছেলে জয় আমাকে টাকার বিনিময়ে এ ঘটনার জন্য নিয়ে আসে। সবাই পালিয়ে গেলও আমি দেয়াল টপকিয়ে পড়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেপালকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: