শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নেত্রকোনায় জামায়াতের ইসলামীর আলোচনা সভা 

নিউজ ডেস্কঃ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোনা পৌর শাখা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের অফিসে উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর জামায়াতের আমির মোঃ রফিকুল ইসলাম। পৌর সেক্রেটারি মোঃ নজরুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, জেলা  মিডিয়া ও মানবসম্পদ বিভাগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোঃ কামাল উদ্দিন, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির ডাঃ আবুল হোসেন তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রধান অতিথি মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, স্বাধীনতার মাত্র ২ দিন আগে এতোগুলা মেধাবী মানুষকে হত্যা করা দেশকে মেধা শূন্য করার পূর্ব পরিকল্পনা। জহির রায়হানের গুম হওয়া ও হত্যাই এর প্রমান বহন করে। এখন সময় এসেছে কথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মুখোশ উন্মোচিত করার। ৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা থেকে শুরু করে ২৪ এর জুলাই গণহত্যা একই সূত্রে গাঁথা। এদেশে আর কোন বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড হতে দেয়া হবেনা। ফ্যাসিবাদকে যারাই পুনর্বাসন করবে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের রুখে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। এসময় বিশেষ অতিথি মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন এর আগে সারা দেশে পাক বাহিনী ক্লোজ হয়ে যায়।সর্বত্রই তারা ছিল কোনঠাসা ঢাকায়ও ছিল কোনঠাসা। ১৪ই ডিসেম্বর এতো শক্তি তাদের ছিলনা।শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কারা করলো? এটা জাতির সামনে উন্মোচিত হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ আমাদের সাথে প্রতিবেশী সূলভ আচরণ করবে এটাই প্রত্যাশা করি।কিন্তু তাদের আচরণ সবসময়ই এদেশের মানুষ ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। বাংলাদেশ এখন ঐক্যবদ্ধ।তারা ছাত্র আন্দোলন ফসল ব্যর্থ হতে দিবেনা।এসময় তিনি ৭১ সাল থেকে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।