নেত্রকোনা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ


ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে                                     ড.ইকবাল হোসাইন 

বক্তব্য রাখছেন ড.মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন
বক্তব্য রাখছেন ড.মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন
নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণায় রাষ্ট্র সংস্কারে রাসুল (সাঃ) এর নীতি ও কৌশল শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোণা সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে সোমবার(৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নেত্রকোনা ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.মোঃ আব্দুল করিম। এতে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক-আইআইইআর ড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ)এর আদলে রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, রাসূল (সা.) ছিলেন আদর্শের সর্বোচ্চ মূর্ত প্রতীক। তার জীবন ছিল মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষার উৎস‌। পৃথিবীতে আগত সকল নবী ও মহামানবদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা) এর জীবন ছিল নিখুঁত ও পরিপূর্ণ। তার প্রতিটি কাজ, কথা ও ঘটনার মধ্যে যেন একটি আলোকিত দিশারী ছিল, যা মানব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে উঠেছে। শুধু মক্কা ও মদিনা নয়; বরং পুরো আরব বিশ্বকে তিনি আমূল সংস্কার করেছেন। তিনি ছিলেন সফল আদর্শ ব্যবসায়ী, দূরদর্শী সংস্কারক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিপুণ সেনা-নায়ক, নিরপেক্ষ বিচারক, মহান রাজনীতিক ও অপরাপর মহৎ গুণের অধিকারী। বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্যাধারণ কীর্তিমান মহামানব।বক্তারা আরো বলেন, রাসূল (সা.) মদিনায় হিজরত করেই একটি সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার সাধন করেছিলেন। তিনি যুদ্ধকালে একটি সুসংবদ্ধ সৈন্যবাহিনী গঠন করেছেন। বিভিন্ন গোত্রপতি বা রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে নানা ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছেন।
অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুষ্ঠুরূপে গড়ে তুলেছেন ও পরিচালনা করেছেন। তিনি সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এক একটি সমাজ পরিচালনার জন্য যা যা করা অপরিহার্য, তিনি তার প্রত্যেকটি কাজই সুষ্ঠু রূপে আঞ্জাম দিয়েছেন। তার নির্মিত মসজিদই ছিল এই সমস্ত কাজের কেন্দ্রস্থান। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি যাবতীয় দায়িত্ব এই মসজিদেই পালন করেছেন। রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করেছেন। বিভিন্ন গোত্র প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট রাষ্ট্রীয় পত্রাদিও প্রেরণ করেছেন। সে পত্রাদি যেমন আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট পাঠিয়েছেন, তেমনি তার বাইরের ব্যক্তিদের নিকঠও পাঠিয়েছেন। তার রাষ্ট্র পরিচালনা ছিল জনকল্যাণে নিবেদিত। তাই রাসূল (সা.) রাষ্ট্র সংস্কারের নীতি ও কৌশল অবলম্বন করে আগামীর রাষ্ট্র গঠন করা হলে জনকল্যাণ সাধন হবে। সেমিনারে উপস্থিত সকলের মাঝে "রাষ্ট্র সংস্কারে রাসূল (সা.) এর নীতি ও কৌশল" শীর্ষক ১৩ পৃষ্ঠার প্রবন্ধ বিতরণ করা হয়।
এতে আরও আলোচনা পেশ করেন নেত্রকোনা এন আকন্দ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল বাতেন,মুফতি মাওলানা আনিসুর রহমান, প্রফেসর আব্দুল বারী আজাদ, 
আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন,নেত্রকোনা জজ কোর্টের এডভোকেট মজিবুর রহমান, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ম কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম প্রমুখ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: