নিজ ঘরে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিল কলেজ শিক্ষকের নিথর দেহ
নেত্রকোনা জেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় নিজ বাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক দিলীপ কুমার রায়ের (৭১) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দিলিপ কুমার রায়ের স্ত্রী দীপা রানী রায় শুক্রবার সকালে বাসায় এসে বাইরে থেকে তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় তালা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে খাটের নীচে স্বামীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দীপা রানী রায় স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় নিজ বসায় দিলীপ কুমার রায় নেত্রকোনা আবু আব্বাছ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসায় একাই ছিলেন। স্ত্রী, সন্তান ছিলেন ঢাকায়। শুক্রবার সকালে স্ত্রী দীপা রানী রায় ঢাকা থেকে বাসায় ফেরেন। এ সময় স্ত্রী ও স্বজনরা ডাকাডাকি করার পর দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে বাসার দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের মেঝেতে দীলীগ কুমার রায়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের অঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পিবিআই, সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে।
নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তাসমিয়া হোসেন অনন্যা বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নেত্রকোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ্ নেওয়াজ জানান, অধ্যাপক দিলীপ কুমার রায়কে দুর্বৃত্তরা বৃহস্পতিবার রাতে যে কোন সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেছে। তিনি বাসায় একা থাকতেন। তার স্ত্রী সকালে এসে বাসায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: