বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বিধবার বাবার গোয়ালঘরে আগুন, পুড়েছে ছাই তিন গরু

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক বিধবা নারীর বাবার গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিএনজি চালক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে।
উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামে গত সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতের এ ঘটনায় পুড়ে মারা যায় তিনটি গরু, আহত হয় আরও দুটি।
ক্ষতিগ্রস্ত লাকী আক্তার (৩৮) বারহাট্টা উপজেলার দেশীউড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের মেয়ে। ২০১৭ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে সন্তানদের বড় করছেন। ইতোমধ্যে বড় মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন।
গার্মেন্টসেই পরিচয় হয় আটপাড়া উপজেলার আড়াগাঁও গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে সিএনজি চালক আব্দুল খালেকের সঙ্গে। পরিচয়ের সূত্র ধরে খালেক লাকী আক্তারকে একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রাজি না হওয়ায় খালেক তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন— “বিয়ে না করলে তোর বাবার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেব।” এই হুমকির একটি অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ঘটনার আগেই, গত ২১ এপ্রিল (সোমবার) সকালে লাকী আক্তার নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিন গভীর রাতে তার বাবার বাড়ির গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে খালেকের বিরুদ্ধে। আগুনে একটি বাছুরসহ তিনটি গরু মারা যায় এবং আরও দুটি গুরুতর দগ্ধ হয়। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় পরিবার।
লাকীর চাচাতো ভাই রতন মিয়া বলেন, “আমার বোন তিন সন্তানের মা। স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে সন্তানদের মানুষ করছে। খালেক তাকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করছে। মামলার পরই আগুন লাগানো হয়। আমরা থানায় অভিযোগ প্রস্তুত করছি।”
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: